ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছেন যে, দেশের স্কুল-কলেজে কোরআন শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেছেন, নৈতিক শিক্ষা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ বিকাশের লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের মাঝে মানবিক গুণাবলী গড়ে তোলার পাশাপাশি তাদের সঠিক নৈতিক পথনির্দেশনা দেওয়ার জন্য কোরআন শিক্ষা এর প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য।

এই উদ্যোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কোরআনের মৌলিক বিষয়গুলো সম্পর্কে অবগত হতে পারবে। এতে তারা ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ন্যায়ের পথে চলার প্রেরণা পাবে এবং জীবনে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হবে। শিক্ষার এই অংশটিকে মূল পাঠ্যক্রমের একটি অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে তিনি জানান।

ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী নৈতিক অবক্ষয় রোধে ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। তাই, কোরআন শিক্ষা শুধু ধর্মীয় অনুশাসন নয়, এটি নৈতিক ও সামাজিক উন্নতির একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। এ উদ্যোগ বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সহনশীলতা, সহমর্মিতা ও মানবিক মূল্যবোধ রপ্ত করতে পারবে।

তবে, এ বিষয়ে কোনো ধর্মীয় বা সামাজিক বৈষম্য তৈরি না করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি জানান যে, এটি সব ধর্মের শিক্ষার্থীদের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হবে না। অন্য ধর্মের শিক্ষার্থীদের তাদের নিজস্ব ধর্মীয় শিক্ষার সুযোগ দেওয়া হবে।

এ উদ্যোগে শিক্ষাবিদ ও ধর্মীয় বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা নিয়ে কার্যক্রম পরিচালিত হবে। ভবিষ্যতে এটি একটি নৈতিক সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদী।

আরও পড়ুন:দেশে ফিরলেন মিজানুর রহমান আজহারী, মাহফিলে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি