স্পোর্টস রিপোর্ট:টটেনহাম ৪-৩ গোলে থ্রিলার জিতে ইউনাইটেডকে বিদায়, স্পার্স কোচ পোস্তেকোগলুর প্রশ্ন: ‘আপনারা কি আনন্দ পাননি?
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে কারাবাও কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল শেষে টটেনহাম কোচ অ্যাঞ্জ পোস্তেকোগলু দর্শকদের উদ্দেশে ছুড়ে দেন প্রশ্নটি। যারা ম্যাচটি দেখেছেন, তাদের উত্তর একটাই হওয়া উচিত—হ্যাঁ, আনন্দ পেয়েছি।
এমন রোমাঞ্চকর ম্যাচ তো প্রতিদিন দেখা যায় না। যেখানে জয়-পরাজয়ের বাইরেও ফুটবল খেলার সৌন্দর্যই বড় হয়ে ওঠে। ইউনাইটেড সমর্থকদের জন্য হয়তো এই আনন্দটা কষ্টের, কিন্তু ফুটবলপ্রেমীদের কাছে এটি ছিল এক স্মরণীয় রাত। বিশেষ করে টটেনহামের সমর্থকদের কাছে।
ম্যাচের আগে প্রিমিয়ার লিগে কোচিং করানোর কঠিন চ্যালেঞ্জের কথা বলেছিলেন গ্রিসে জন্ম নেওয়া অস্ট্রেলিয়ান কোচ পোস্তেকোগলু। সেই চ্যালেঞ্জ যেন ডাগআউটে নতুন করে অনুভব করলেন। তবে ৪-৩ গোলের থ্রিলার জিতে শেষ হাসিটা তিনিই হাসলেন।
৬২ মিনিট পর্যন্ত টটেনহাম ৩-০ গোলে এগিয়ে ছিল। জোড়া গোল করেন ডমিনিক সোলাঙ্কি এবং এক গোল দেজান কুলুসোভস্কির। এরপর শুরু হয় নাটক। মাত্র সাত মিনিটের ব্যবধানে দুটি গোল শোধ করে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে ইউনাইটেড। গোল করেন জশুয়া জিরেকজে ও আমাদ দিয়ালো।
৮৮ মিনিটে সন হিউং-মিনের গোল ব্যবধান বাড়িয়ে দেয় ৪-২-এ। তবে ইউনাইটেডও ছাড়ার পাত্র ছিল না। যোগ করা সময়ে জনি ইভান্সের গোল যেন আরও একবার নাটকীয়তার ইঙ্গিত দেয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত টটেনহামেরই জয় হলো, আর বিদায় নিতে হলো ইউনাইটেডকে।
ম্যাচ শেষে পোস্তেকোগলু বলেন, “আমি ফুটবল ভালোবাসি। আমাদের লক্ষ্য সাফল্য, তবে সেটি এমন আনন্দময় ফুটবলের মাধ্যমেই আসা উচিত।”
ইউনাইটেড কোচ রুবেন আমোরিম অবশ্য পরাজয়ের দায় চাপিয়েছেন দলের ৮ মিনিটের ব্যর্থতার ওপর। তিনি বলেন, “ম্যাচের একটি অংশে আমরা ছন্দ হারিয়ে ফেলেছিলাম, যা কাটিয়ে ওঠা কঠিন ছিল। তবে ছেলেরা অনেক চেষ্টা করেছে।”
এই ম্যাচ শুধুই স্কোরলাইন নয়, এটি ছিল ফুটবলের সৌন্দর্যের প্রদর্শনী। টটেনহাম হয়তো জয়ের কৃতিত্ব পাবে, তবে ইউনাইটেডের লড়াইও এই ম্যাচকে স্মরণীয় করে রেখেছে।
আরও পড়ুন:টি-২০ সিরিজে ক্যারিবিয়ানদের হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়লো টাইগাররা