স্পোর্টস রিপোর্ট: ১৬ ডিসেম্বর, বাংলাদেশের বিজয়ের ৫৩তম বার্ষিকীতে জাতি উদযাপন করছে এক অনন্য ইতিহাস। এ দিনটি আরও স্মরণীয় করে তুলেছে ক্রিকেটে টাইগারদের এক দূরন্ত জয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেন্ট ভিনসেন্টে অনুষ্ঠিত উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে বাংলাদেশ ৭ রানে জয় পেয়েছে, ফলে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে।

১৪৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১০ রান। ক্রিজে ছিলেন বিধ্বংসী ব্যাটার রভম্যান পাওয়েল, যিনি এর আগে রোমারিও শেফার্ডের সঙ্গে ৩৩ বলে ৬৭ রানের ঝোড়ো জুটি গড়েছিলেন। তবে টাইগার পেসার হাসান মাহমুদ শেষ ওভারে অসাধারণ দক্ষতা দেখান। প্রথম বলেই পাওয়েলকে উইকেটের পেছনে ক্যাচে পরিণত করেন তিনি। এরপর চতুর্থ বলে বোল্ড করেন আলজারি জোসেফকে, নিশ্চিত করেন বাংলাদেশের জয়ের রোমাঞ্চকর সমাপ্তি।

পুরো ম্যাচেই বাংলাদেশের বোলাররা ছিলেন দুর্দান্ত। প্রথম ওভারেই মাত্র ১ রান দেন হাসান মাহমুদ। দ্বিতীয় ওভারে তাসকিন আহমেদ ব্রেন্ডন কিংয়ের উইকেট তুলে নেন, সহজ ক্যাচটি লুফে নেন তানজিদ হাসান তামিম।

মিডল অর্ডারে শেখ মেহেদি হাসান তার বুদ্ধিদীপ্ত স্পিনে নিকোলাস পুরান ও জনসন চার্লসকে ফিরিয়ে দেন। তার স্পিন আক্রমণে স্বাগতিকরা ৯ রানে ৪ উইকেট হারায়, যা টাইগারদের জয়ের ভিত গড়ে দেয়। মেহেদি তার ৪ ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়ে শিকার করেন ৪টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট।

৬১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ম্যাচে ফেরানোর চেষ্টা করেন রভম্যান পাওয়েল। গুদাকেশ মোতি ও রোমারিও শেফার্ডকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই জমিয়ে তোলেন তিনি। তবে টাইগার বোলারদের চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত পরাস্ত হন।

বিজয়ের দিনে টাইগারদের এমন দাপুটে পারফরম্যান্স দেশজুড়ে আনন্দের জোয়ার এনেছে। বিশেষ করে মেহেদি হাসানের দুর্দান্ত স্পেল এবং হাসান মাহমুদের স্নায়ুচাপ সামলে শেষ ওভার পরিচালনা দলের সাফল্যের প্রধান চাবিকাঠি। দ্বিতীয় ম্যাচে একই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে সিরিজ জয় নিশ্চিত করতে চায় বাংলাদেশ।

আরও পড়ুন:মৌলভীবাজারে মানব পাচারকারী চক্রের মূলহোতা ওয়াসকরনী গ্রেফতার