আসছে নতুন নোট: যুক্ত হচ্ছে ঐতিহ্য ও ‘জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি
নতুন নোটে স্থান পাচ্ছে ধর্মীয় স্থাপনা, বাঙালি ঐতিহ্য এবং ‘জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি’। বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সরকারের অনুমোদন পাওয়ার পর ইতোমধ্যে নোট ছাপানোর কাজ শুরু হয়েছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যেই বাজারে আসবে নতুন নোট।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) জানান, প্রাথমিকভাবে চারটি নোটের ডিজাইন পরিবর্তন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে সব ধরনের ব্যাংক নোটের ডিজাইন ধাপে ধাপে নতুন করে তৈরি করা হবে। তবে নতুন নোটে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকবে না।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ নতুন নোটের নকশার প্রস্তাব জমা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দেয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রা ও নকশা উপদেষ্টা কমিটি, যার নেতৃত্বে আছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর-১, এই প্রক্রিয়ার মূল দায়িত্বে থাকবে। কমিটিতে চিত্রশিল্পীরাও অন্তর্ভুক্ত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা জানিয়েছেন, নতুন নোট ছাপানোর কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যেই বাজারে এই নতুন নোট আসবে। নতুন টাকায় বিশেষভাবে স্থান পাবে জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি।
বাংলাদেশের মুদ্রা ছাপানোর দায়িত্বে থাকা দ্য সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন (বাংলাদেশ) লিমিটেড বা টাকশাল ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে প্রথম নোট ছাপা হয় ১৯৮৮ সালে। প্রতিটি নোট ছাপানোর আগে নকশা সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হয় এবং নকশা তৈরিতে চিত্রশিল্পীদের যুক্ত করা হয়।
বর্তমানে ১, ২, ৫, ১০, ২০, ৫০, ১০০, ২০০, ৫০০ এবং ১০০০ টাকার মোট ১০টি কাগুজে নোট প্রচলিত রয়েছে। এর মধ্যে সব নোটেই শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি আছে। এছাড়া ধাতব মুদ্রাতেও তার ছবি রয়েছে। নতুন নোটের নকশা এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হবে।
প্রতি বছর নির্দিষ্ট পরিমাণ নতুন টাকা ছাপিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রাখা হয়। প্রয়োজন অনুযায়ী নির্ধারিত টাকা বাজারে ছাড়া হয় এবং তখনই তা মুদ্রা হিসেবে গণ্য হয়।
আরও পড়ুন:১৫ আগস্ট ‘জাতীয় শোক দিবস’র ছুটি: হাইকোর্টের রায় স্থগিত।