‘হে মুমিনগণ! জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে দ্রুত ছুটে যাও এবং বেচাকেনা বন্ধ করো। এটা তোমাদের জন্য উত্তম যদি তোমরা বোঝো।’ (সুরা জুমআ, আয়াত : ৯)
কেয়ামত শুক্রবারেই অনুষ্ঠিত হবে?
কেয়ামত এ দিনেই সংঘটিত হবে। আল্লাহ তায়ালা প্রতি সপ্তাহে মানবজাতির সমাবেশ ও ঈদের জন্য এ দিন নির্ধারণ করেছিলেন।
কিন্তু পূর্ববর্তী উম্মতরা তা পালন করতে ব্যর্থ হয়। ইসলামে জুম্মার গুরুত্ব ও ফজিলত অপরিসীম। আল্লাহপাক কোরআন পাকে ইরশাদ করেন,
‘হে মুমিনগণ জুম্মার দিনে যখন নামাজের আজান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের উদ্দেশেও দ্রুত ধাবিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় ত্যাগ কর’। সূরা জুমা, আয়াত নং-৯।
সংক্ষেপে শুক্রবারের আমল;
যেহেতু মানুষের পড়ার ধৈর্য ও সময় খুব কম তাই খুব সংক্ষেপে কোরআন ও হাদিসের আলোকে শুক্রবারের মূল ইবাদতগুলো নিচে উল্লেখ করছি।
১। বৃহস্পতি বার রাত থেকেই বেশি বেশি দরুদ শরিফ পাঠ করা (যে কোন দরুদ পড়া যেতে পারে)।
২। শুক্রবার ফজরের নামাজে সুরা সাজদা ও সুরা ইনসান তেলাওয়াত করা।
৩। গোসল করা। (গোসলের ফরজ ১. নাকে পানি দেওয়া ২. গড়গড়া করা ৩. সমস্ত শরীর ধৌত করা।)
৪। উত্তম পোশাক পরা।
৫। সুগন্ধি ব্যবহার করা।
৬। আগেভাগে মসজিদে যাওয়া।
৭। ইমামের কাছাকাছি গিয়ে বসা।
৮। মসজিদে গিয়ে জুমার নামাজের আগে ৪ রাকাত সুন্নত আদায় করা।
৯। খুতবা চলাকালে কোনো কথা না বলা।
১০। মনোযোগ দিয়ে খুতবা শোনা।
১১। সুরা কাহফ তেলাওয়াত করা।
১২। জুম্মার আজান হলে দ্রুত মসজিদে যাওয়া
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেন, মুমিনগণ, জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে দ্রত অগ্রসর হও এবং বেচা-কেনা বন্ধ কর। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝ। সূরা- আল জুমা, আয়াত: ৯
জুমার দিনে আজানের আগেই সব কর্মব্যস্ততা ত্যাগ করে জুমু\’আর নামায আদায়ের প্রস্তুতি গ্রহণ করে মসজিদে গমন করা ঈমানী দায়িত্ব।
এ দিনে এমন একটি সময় রয়েছে, সকল দোয়া কবুল হয়। এই দিনের বিশেষ কিছু আমল রয়েছে, যা হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।
যথাসম্ভব দ্রুত মসজিদে যাওয়া। এই দিনের গুরুত্বপূর্ণ আমল হচ্ছে দ্রুত মসজিদে যাওয়া। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,
‘হে মুমিনগণ! জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে দ্রুত ছুটে যাও এবং বেচাকেনা বন্ধ করো। এটা তোমাদের জন্য উত্তম যদি তোমরা বোঝো।’ (সুরা জুমআ, আয়াত : ৯)