1. tirtherkak24@gmail.com : tirtherkak :
আয়নাঘর পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস: ‘এক বীভৎস দৃশ্য’
মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫, ০৩:৩১ পূর্বাহ্ন

আয়নাঘর পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস: ‘এক বীভৎস দৃশ্য’

  • প্রকাশিত: বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
আয়নাঘর পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস: ‘এক বীভৎস দৃশ্য’
আয়নাঘর পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস: ‘এক বীভৎস দৃশ্য’

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ বুধবার আয়নাঘর পরিদর্শনে গেছেন। সকাল ১১টার দিকে তিনি সেখানে পৌঁছান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা ও ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরা।

পরিদর্শন শেষে ড. ইউনূস বলেন, ‘আপনারা সবাই সঙ্গে ছিলেন, কাজেই আমার আর নতুন করে কিছু বলতে হবে না। আপনারা সবই দেখেছেন। এক কথায় যদি এর বর্ণনা দিতে হয় তবে বলতে হয় এক বীভৎস দৃশ্য। মানুষের মনুষ্যত্ববোধ বলে যা কিছু আছে, সেটাকে বহু গভীরে নিয়ে গিয়ে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। প্রতিটি নিপীড়নের চিহ্নই নৃশংসতার প্রমাণ বহন করছে। যতবারই শুনি, অবিশ্বাস্য মনে হয়।’

ড. ইউনূস আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কে ‘আইয়ামে জাহিলিয়াতের’ যুগের সঙ্গে তুলনা করেন। আয়নাঘরে যেভাবে মানুষকে নির্যাতন করা হতো, সেটিও তিনি সেই সময়ের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, ‘এখানে যা ঘটেছে, তা নৃশংসতার চূড়ান্ত উদাহরণ। যখনই এসব শুনি, অবিশ্বাস্য মনে হয়—এটা কি সত্যিই আমাদের দেশ? আমাদের জগৎ?’

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বিনা কারণে মানুষকে “জঙ্গি” আখ্যা দিয়ে তুলে এনে এসব টর্চার সেলে নির্যাতন করা হতো।’

তিনি আরও জানান, ‘এখন শুনছি, সারা বাংলাদেশে আরও সাত-আটশ আয়নাঘর রয়েছে। এতদিন ধারণা ছিল, শুধু এখানেই রয়েছে, কিন্তু আসলে এই নির্যাতন কেন্দ্রগুলোর সঠিক সংখ্যা নিরূপণ করা কঠিন। কতগুলো আমাদের জানা, আর কতগুলো অজানা, সেটাও স্পষ্ট নয়।’

গুম কমিশনকে ধন্যবাদ

গুম কমিশনের অনুসন্ধানের মাধ্যমে আয়নাঘরগুলোর অস্তিত্ব উন্মোচিত হয়েছে উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, ‘আইয়ামে জাহিলিয়াত বলে একটা কথা আছে না? গত সরকার সেই অন্ধকার যুগ প্রতিষ্ঠিত করেছিল সর্বত্র। গুম কমিশনকে এসব আয়নাঘর আবিষ্কারের জন্য ধন্যবাদ জানাই।’

তিনি আরও জানান, গুম কমিশনের প্রতিবেদনে আয়নাঘরের ডকুমেন্টেশন বাধ্যতামূলক করা হবে এবং যারা এসব অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল, তাদের বিচার করা হবে।

‘এসব তথ্য-প্রমাণ সিলগালা করে রাখা হবে এবং বিচারের জন্য ব্যবহৃত হবে,’ বলেন প্রধান উপদেষ্টা।

ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা

পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ভুক্তভোগীদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। গুম হওয়া জামায়াতে ইসলামীর নেতা গোলাম আযমের ছেলে আব্দুল্লাহিল আমান আযমী এবং দলটির কেন্দ্রীয় নেতা ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের প্রতিষ্ঠাতা মীর কাশেম আলীর ছেলে আহমেদ বিন কাশেম এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া দুইজন উপদেষ্টা, আসিফ মাহমুদ ও নাহিদ ইসলাম, নিজেরাও একসময় এই আয়নাঘরে বন্দি ছিলেন। তারা ওই নির্দিষ্ট কক্ষ চিহ্নিত করেছেন বলেও জানান ড. ইউনূস।

আরও পড়ুন:গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা: আহত কাশেমের মৃত্যু

এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
© ২০২৪ সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত || তীর্থের কাক
Theme Customized By Durjoy Bangla