সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার অভিযোগে মোঃ জসিম মিয়াকে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৯)।
আসামি মো. জসিম মিয়া এবং ভিকটিম শিল্পনা বেগম স্বামী-স্ত্রী। তাদের সংসারে দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী, বিয়ের পর থেকেই শিল্পনা তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির অন্যান্য সদস্যদের দ্বারা নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হতেন। তাকে সংসার ছাড়ার হুমকি দেওয়া হতো এবং আত্মহত্যায় প্ররোচিত করা হতো।
গত ৭ অক্টোবর ২০২৪ রাত ৯টা ৪০ মিনিট থেকে ৮ অক্টোবর সকাল ১০টা ৩০ মিনিটের মধ্যে কোনো এক সময় শিল্পনা বিষাক্ত ওষুধ (টেটরাসল সলিউশন) সেবন করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরিবারের সদস্যরা তাকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে অভিযুক্তরা মৃতদেহ বাড়িতে ফেলে পালিয়ে যান।
ঘটনার পর নিহতের ভাই কোম্পানীগঞ্জ থানায় স্ত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা এবং সহায়তার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মামলার নম্বর ১০, তারিখ ৯ অক্টোবর ২০২৪, ধারা ৩০৬/৩৪ (পেনাল কোড ১৮৬০)।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯ এর সিপিএসসি একটি দল ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ রাত ১০টা ৫০ মিনিটে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার বারগোপী এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে ১ নম্বর এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি মোঃ জসিম মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। তার বাড়ি সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বতুমারা গ্রামে।
গ্রেফতারের পর আসামিকে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় র্যাব-৯ এর গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
র্যাব-৯ সমাজ থেকে অপরাধ নির্মূল এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:সুনামগঞ্জে আত্মগোপনে থাকা ক্লুলেজ হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার