1. tirtherkak24@gmail.com : tirtherkak :
ল্যানসেটের গবেষণা: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যের তুলনায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ৪১ শতাংশ বেশি
মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫, ০৩:৫৪ পূর্বাহ্ন

ল্যানসেটের গবেষণা: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যের তুলনায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ৪১ শতাংশ বেশি

  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২৫
ল্যানসেটের গবেষণা: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যের তুলনায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ৪১ শতাংশ বেশি
ল্যানসেটের গবেষণা: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যের তুলনায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ৪১ শতাংশ বেশি

গাজায় নিহতের প্রকৃত সংখ্যা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যানের চেয়ে ৪১ শতাংশ বেশি: ল্যানসেটের গবেষণা

গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রথম ৯ মাসে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা উপত্যকাটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবের তুলনায় প্রায় ৪১ শতাংশ বেশি বলে উঠে এসেছে চিকিৎসাবিজ্ঞান বিষয়ক সাময়িকী ল্যানসেট-এর এক গবেষণায়। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এই গবেষণা প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালানোর পরপরই গাজায় ব্যাপক হামলা শুরু করে ইসরায়েল। শুরু থেকেই এই যুদ্ধে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত ৯ মাসে যুদ্ধে ৩৭,৮৭৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তবে ল্যানসেটের গবেষণা বলছে, ওই সময়ে নিহতের সংখ্যা ছিল প্রায় ৫৫,২৯৮ থেকে ৭৮,৫২৫ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অনুমান অনুযায়ী, গাজায় নিহতের প্রকৃত সংখ্যা প্রায় ৬৪,২৬০ জন, যা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যানের তুলনায় ৪১ শতাংশ বেশি।

গবেষণায় দেখা গেছে, এই সংখ্যাটি গাজার যুদ্ধপূর্ব জনসংখ্যার প্রায় ২.৯ শতাংশ। অর্থাৎ, প্রতি ৩৫ জনের মধ্যে একজন যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৫৯ শতাংশ নারী, শিশু ও বয়স্ক মানুষ।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষকদের একটি দল এই গবেষণা চালিয়েছে। গবেষণায় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য, অনলাইন জরিপ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত মৃত্যুসংবাদের ভিত্তিতে **‘ক্যাপচার-রিক্যাপচার’ পরিসংখ্যান পদ্ধতি** ব্যবহার করা হয়েছে।

গবেষণার প্রধান এবং লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের মহামারি বিশেষজ্ঞ জেইনা জামালউদ্দিন বলেন, “আমরা কেবল আত্মীয়স্বজন, হাসপাতাল বা মর্গ কর্তৃপক্ষ দ্বারা নিশ্চিত মৃত্যুর তথ্য বিশ্লেষণ করেছি।”

তবে গবেষণায় কেবল বিমান হামলা এবং বিস্ফোরণে নিহতদের হিসাব ধরা হয়েছে। এতে স্বাস্থ্যসেবা, খাবারের অভাবে মৃত্যু বা ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে নিখোঁজ ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। গবেষকরা আশঙ্কা করছেন, নিখোঁজ এই হাজার হাজার মানুষও মারা গেছেন।

ইসরায়েলি হামলা ১৫ মাস অতিক্রম করেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে **৪৬,০০৬ জনে।

অন্যদিকে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হন ১,২০৮ জন। এই সংখ্যা ইসরায়েলের সরকারি হিসাব অনুযায়ী।

ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরেই গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত পরিসংখ্যান নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে আসছে। তবে জাতিসংঘ এই পরিসংখ্যানকে বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করে। ল্যানসেটের গবেষণার তথ্য ইসরায়েলি সন্দেহ এবং গাজায় সংঘটিত মানবিক সংকট সম্পর্কে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

আরও পড়ুন:গুলি ছোড়া বন্ধ করুন! আমার মেয়ে মরে গেছে: ফিলিস্তিনি মায়ের আর্তনাদ

এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
© ২০২৪ সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত || তীর্থের কাক
Theme Customized By Durjoy Bangla