ডেস্ক রিপোর্ট: আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে সরকারি চাকরিজীবীরা নতুন হারে মহার্ঘ ভাতা পেতে যাচ্ছেন, যা কার্যকর হবে ১ জুলাই ২০২৫ থেকে। যদিও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ ভাতা চালুর সুপারিশ করেছিল, সরকার শেষ পর্যন্ত বাজেট ঘোষণার প্রেক্ষিতে আগামী অর্থবছর থেকে এটি কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে প্রথম থেকে নবম গ্রেডে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা পাবেন ১৫ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা। অন্যদিকে, দশম থেকে বিংশ গ্রেড পর্যন্ত কর্মচারীদের জন্য এই ভাতার হার হবে ২০ শতাংশ। তবে এই ভাতা চালুর সঙ্গে সঙ্গেই ২০২৩-২৪ অর্থবছরে চালু হওয়া ৫ শতাংশ বিশেষ প্রণোদনা সুবিধা বাতিল হয়ে যাবে।
সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এ হার চূড়ান্ত করা হয়। বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, “নতুন অর্থবছরে মহার্ঘ ভাতা চালু হবে, তবে কিছুটা সময় লাগবে। এ নিয়ে একটি কমিটি কাজ করছে।”
চলতি বছরের শুরু থেকেই মহার্ঘ ভাতা চালুর আলোচনা চলছিল। যদিও অর্থনৈতিক চাপের কারণে ওই পরিকল্পনা কিছুদিনের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছিল, তবে বর্তমানে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হওয়ায় আবারও বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, নতুন হারে মহার্ঘ ভাতা চালু হলে সরকারের অতিরিক্ত ব্যয় হবে প্রায় ৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছিল ৮২ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা, যা ছিল মোট বাজেটের ১০ দশমিক ৪১ শতাংশ। তবে বিভিন্ন পদোন্নতির কারণে সংশোধিত বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৮৪ হাজার কোটি টাকায়।
সরকার মনে করছে, জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি এবং মুদ্রাস্ফীতির চাপ সামাল দিতে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা বাড়ানো জরুরি হয়ে উঠেছে। আগামী বাজেট বক্তৃতায় এই ভাতার বিস্তারিত ঘোষণা আসতে পারে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: মহার্ঘ ভাতা নিয়ে নতুন করে যা জানালেন জনপ্রশাসন সচিব