স্পোর্টস রিপোর্ট:সবার আগে বিপিএলের ফাইনালে তামিমের বরিশাল। ১ম কোয়ালিফাইয়ারে তারা চিটাগং কিংসকে ৯ উইকেটে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেন।
বিপিএল অভিষেকেই মোহাম্মদ আলী বাজিমাত করলেন। তার বিধ্বংসী বোলিংয়ে চিটাগং কিংস গুটিয়ে গেল দেড়শ রানের নিচে। জয়ের জন্য সহজ লক্ষ্যে নেমে তাওহিদ হৃদয়ের দুর্দান্ত ফিফটিতে কোনো বেগ পেতে হয়নি ফরচুন বরিশালকে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২০২৫ বিপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে চিটাগং কিংসকে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছেছে বরিশাল। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে চিটাগং ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান সংগ্রহ করে। জবাবে বরিশাল ১৫০ রান তুলে ফেলে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে, ১৬ বল বাকি থাকতেই।
মোহাম্মদ আলীর বিধ্বংসী স্পেল
চিটাগংয়ের ইনিংসে একমাত্র ব্যাটার হিসেবে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী। ৪৭ বলে ৭৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি, যেখানে ছিল ৯টি চার ও ৪টি ছক্কা। তবে তার এই লড়াইকে অর্থহীন করে দেন বরিশালের পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আলী। এক ওভারে ৪ উইকেটসহ ২৪ রানে ৫ উইকেট নিয়ে চিটাগংকে গুঁড়িয়ে দেন তিনি। বিপিএলের ইতিহাসে এক ওভারে ৪ উইকেট নেওয়া তিনিই প্রথম বোলার।
শুরুতে কাইল মেয়ার্সের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ধাক্কা খায় চিটাগং। দ্বিতীয় বলেই খাওয়াজা নাফায়েককে বোল্ড করেন তিনি। নিজের পরের ওভারে ফিরিয়ে দেন গ্রাহাম ক্লার্ককে। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ইবাদত হোসেনের বলে বিদায় নেন পাকিস্তানি হায়দার আলী।
একপ্রান্ত আগলে রেখে শামীম লড়াই চালিয়ে যান। পারভেজ ইমনকে নিয়ে ৫০ বলে ৭৭ রানের জুটি গড়ে চাপ সামাল দেন। ইমন করেন ৩৬ রান (৩৬ বলে, ৩ চার, ২ ছক্কা)। তবে শেষদিকে আলীর বিধ্বংসী ওভারে চিটাগংয়ের ইনিংস ভেঙে পড়ে। ১৯তম ওভারে প্রথম বলেই খালেদ আহমেদকে বোল্ড করেন আলী। এক বল পর শামীমের ইনিংস থামে ইবাদতের হাতে ক্যাচ দিয়ে। শেষ দুই বলে আরাফাত সানি ও আলিস আল ইসলামকে ফিরিয়ে নিজের ৫ উইকেট পূর্ণ করেন এই পাকিস্তানি পেসার।
চিটাগং শেষ দুই ওভারে মাত্র ৬ রান তুলতে পারে এবং ১৪৯ রানেই থেমে যায় তাদের ইনিংস।
হৃদয়ের ঝলমলে ফিফটিতে সহজ জয়
মাত্র ১৫০ রানের লক্ষ্যে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই জয় নিশ্চিত করে ফেলে বরিশাল। তামিম ইকবাল ও তাওহিদ হৃদয় ৫২ বলে ৫৫ রানের জুটি গড়েন। তামিম ২৬ বলে ৪ চারে ২৯ রান করে সৈয়দ খালেদের বলে আউট হলেও, হৃদয় ছিলেন অবিচল।
৪৫ বলে ফিফটি করা হৃদয় পরে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ম্যাচ শেষ করে দেন। তিনি ৫৬ বলে ৮২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন, যেখানে ছিল ৯টি চার ও ২টি ছক্কা। তার সঙ্গে ছিলেন ইংলিশ ব্যাটার ডেভিড মালান, যিনি ২২ বলে ৩৪ রান করেন (২ চার, ১ ছক্কা)। তাদের ৫২ বলে ৯৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতেই অনায়াস জয় নিশ্চিত হয় বরিশালের।
চিটাগংয়ের হয়ে একমাত্র উইকেটটি নেন সৈয়দ খালেদ আহমেদ।
বরিশালের টানা দ্বিতীয়বার ফাইনাল, চিটাগংয়ের আরেকটি সুযোগ
এই জয়ে টানা দ্বিতীয়বার বিপিএলের ফাইনালে উঠল ফরচুন বরিশাল। তবে এখনই শেষ হয়ে যায়নি চিটাগং কিংসের শিরোপার স্বপ্ন। আগামী বুধবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে জিতলে ফাইনালে খেলার সুযোগ পাবে তারা।