1. tirtherkak24@gmail.com : tirtherkak :
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সুবিচারে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা
মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫, ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সুবিচারে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা

  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
পিলখানা হত্যাকান্ডের সুবিচারে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা
পিলখানা হত্যাকান্ডের সুবিচারে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা

জাতীয় শহীদ সেনা দিবসের প্রথম আনুষ্ঠানিক পালনের দিনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ২০০৯ সালে পিলখানায় ঘটে যাওয়া বর্বর হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব, এবং বাংলাদেশ সেই দায়বদ্ধতা থেকে সরে আসবে না।

মঙ্গলবার এক বাণীতে তিনি বলেন, “পিলখানায় বীর সেনা সদস্যদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ বছর ধরে জাতি হিসেবে আমাদের বিভ্রান্তির মধ্যে রাখা হয়েছে। এখন সময় এসেছে সত্যের মুখোমুখি দাঁড়ানোর, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার।”

প্রধান উপদেষ্টা জানান, ২০০৯ সালের এই দিনটিতে পিলখানায় শহীদ সেনাদের স্মরণে এখন থেকে প্রতি বছর ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে পালিত হবে।

নৃশংস হত্যাকাণ্ড ও বিচারপ্রক্রিয়ার দীর্ঘ অপেক্ষা

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) সদরদপ্তরে বিদ্রোহের সময় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনা শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও আলোড়ন তোলে।

বিদ্রোহের সূত্রপাত বিডিআরের দরবার হল থেকে হলেও এর রেশ ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন স্থানে। দুদিনের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর বিদ্রোহের সমাপ্তি ঘটে, কিন্তু এর গভীর ক্ষত দেশের মানুষের মনে থেকে যায়। ঘটনার পর বিডিআরের নাম পরিবর্তন করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রাখা হয় এবং বাহিনীর সাংগঠনিক কাঠামোতেও পরিবর্তন আনা হয়।

ঘটনার পর বিচারের প্রক্রিয়া শুরু হলেও সময়ের পরিক্রমায় ন্যায়বিচারের দাবিতে নতুন করে তদন্তের দাবি ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ডিসেম্বরে অন্তর্বর্তী সরকার সাত সদস্যের স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করে। এ ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তৎকালীন সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

শহীদদের স্মরণে নতুন প্রতিশ্রুতি

জাতীয় শহীদ সেনা দিবস উপলক্ষে দেওয়া বক্তব্যে মুহাম্মদ ইউনূস শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের গভীর শ্রদ্ধা ও বেদনার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, “এত বছর পরও শহীদ পরিবারের সদস্যরা তাদের স্বজন হত্যার ন্যায়বিচারের অপেক্ষায় রয়েছেন। রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ এই নির্মমতার সুবিচার নিশ্চিত করতে দায়বদ্ধ।”

তিনি আরও বলেন, “এই দিনটি আমাদের চেতনা ও অনুভূতির একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হয়ে থাকবে। এটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেবে, কিভাবে একদল সাহসী সেনা সদস্য অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে নির্মমভাবে প্রাণ দিয়েছেন। তাদের আত্মত্যাগের আলোকে জাতি যেন সঠিক পথের দিশা পায়, সেই লক্ষ্যেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।”

ন্যায়বিচার ও উন্নয়নের আহ্বান

প্রধান উপদেষ্টা দুঃশাসন, ষড়যন্ত্র ও আত্মঅহংকারের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান, যেন আর কোনো প্রাণ অকারণে ঝরে না যায়। তিনি বলেন, “মানুষ যেন আত্মসম্মান ও মানবিক অধিকার নিয়ে তার যোগ্যতা ও মেধার প্রাপ্য স্বীকৃতি পায়। বাংলাদেশ যেন ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও বেকারত্বমুক্ত বিশ্ব গড়ার আদর্শিক মডেল হয়ে ওঠে।”

তিনি সবাইকে শহীদ সেনাদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি স্বনির্ভর ও সুসভ্য বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নেওয়ার আহ্বান জানান।

আরও পড়ুন:নিজেদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করুন, সেনাপ্রধানের সতর্ক বার্তা

এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
© ২০২৪ সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত || তীর্থের কাক
Theme Customized By Durjoy Bangla