দুর্ধর্ষ ডাকাত সর্দার স্পিং জালালসহ আরও তিন ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯, সিলেট। অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর, ৫ আগস্ট ২০২৪ থেকে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটার সুযোগে কিছু অসাধু ব্যক্তির তৎপরতা বেড়ে যায়। এতে ডাকাতির হারও আগের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়, যার প্রভাব হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিপিসি-৩, শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের একটি বিশেষ দল ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সকালে মাধবপুর থানার সুন্দরপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ থানার একটি মামলার (মামলা নং-০৩, তারিখ: ০৫/০২/২০২৫, ধারা: ৩৯৬, পেনাল কোড ১৮৬০) তদন্তের অংশ হিসেবে, ক্লুলেস খুন ও ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকা ডাকাত দলের চার সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ডাকাত সদস্যদের পরিচয়:-১। জালাল মিয়া @ স্পিং জালাল (৩০), পিতা-ডুবাই মিয়া, ঠিকানা-সুন্দরপুর,
২। ফয়সাল মিয়া (৩২), পিতা-জমির আলী, ঠিকানা-বহরনগর, ৩। জয়নাল (৪৩), পিতা-মৃত আছদ্দুর মিয়া, ঠিকানা-সুন্দরপুর এবং ৪। মোঃ রুবেল আহমেদ রনি (২৬), পিতা-শাহ আলম মিয়া, ঠিকানা-মানিকপুর।
গ্রেফতারকৃত চারজনই মাধবপুর থানার বাসিন্দা এবং তাদের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে জালাল মিয়া @ স্পিং জালাল এলাকায় দুর্ধর্ষ ডাকাত সর্দার হিসেবে পরিচিত।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা এবং ডাকাত চক্র দমনের লক্ষ্যে র্যাব-৯ এর গোয়েন্দা কার্যক্রম ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।