র্যাব-এনটিএমসি বিলুপ্তি, বিজিবি-ডিজিএফআইয়ের ক্ষমতা সীমিতকরণ এমন সুপারিশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়। একই সঙ্গে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই)-এর কর্মকাণ্ড সীমিত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
বুধবার প্রকাশিত একটি ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুলাই অভ্যুত্থানের সঙ্গে সম্পর্কিত মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে এ সুপারিশগুলো করা হয়েছে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, আনসার ও ভিডিপিকে সম্পূর্ণভাবে বেসামরিক বাহিনীতে রূপান্তর করার সুপারিশ করা হয়েছে।
এছাড়া, জনগণের ওপর বেআইনি নজরদারি বন্ধ করতে এবং ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশনস মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) বিলুপ্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি, নজরদারি কার্যক্রম স্পষ্টভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের ভেতরে সেনাবাহিনী মোতায়েনের ক্ষেত্রে তা বেসামরিক প্রশাসনের অধীনে রাখার নিয়ম কার্যকর করা উচিত।
এছাড়া, পুলিশি নির্যাতনের ঘটনা তদন্তের জন্য একটি স্বাধীন কমিশন গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনী ও বিজিবির জন্যও স্বাধীন জবাবদিহি ও বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পরামর্শ দিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনের ফলে র্যাব-এনটিএমসি বিলুপ্তি এর গুঞ্জন আরো জোড়ালো হলো।
আরও পড়ুন:জাতিসংঘের প্রতিবেদন: জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগ