1. tirtherkak24@gmail.com : tirtherkak :
আঘা ও রিজওয়ানের সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের রেকর্ড রান তাড়া
সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৫২ পূর্বাহ্ন

আঘা ও রিজওয়ানের সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের রেকর্ড রান তাড়া

  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
আঘা ও রিজওয়ানের সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের রেকর্ড রান তাড়া
আঘা ও রিজওয়ানের সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের রেকর্ড রান তাড়া

স্পোর্টস রিপোর্ট:পাকিস্তান ৩৫৫/৪ (সালমান ১৩৪, রিজওয়ান ১২২*, ফখর ৪১, মুল্ডার ২/৭৯) দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৫২/৫ (ক্লাসেন ৮৭, ব্রিটজকে ৮৩, বাভুমা ৮২, ভেরেইন ৪৪*, আফ্রিদি ২/৬৬) কে ৬ উইকেটে হারিয়েছে।

আঘা ও রিজওয়ানের শতকের ওপর ভর করে পাকিস্তান তাদের ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয় তুলে নিয়েছে। এই জয়ে তারা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। রিজওয়ান ও সালমানের ২৬০ রানের জুটি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সর্বোচ্চ এবং রান তাড়ায় চতুর্থ সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ হিসেবে রেকর্ড গড়েছে।

দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস

দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বড় স্কোর গড়ে। ওপেনার ম্যাথু ব্রিটজকে ও টেম্বা বাভুমা দলকে দারুণ শুরু এনে দেন। বাভুমা ১৭ ইনিংস পর ফিফটি করেন এবং ৮২ রান করে রান আউট হন। ব্রিটজকে ৪৬ বলে ফিফটি করেন এবং শেষ পর্যন্ত ৮৩ রান করে সালমান আঘার দুর্দান্ত ক্যাচে বিদায় নেন।

হেনরিখ ক্লাসেন শুরুতে ধীরগতিতে খেললেও পরে বিধ্বংসী ব্যাটিং করেন। মোহাম্মদ হাসনাইনের এক ওভারে চারটি চার হাঁকান এবং দ্রুত রান তুলতে থাকেন। ৩৮ বলে ফিফটি করার পর ১৮ বলে আরও ৩৭ রান যোগ করেন। শেষ দিকে শাহীন আফ্রিদির এক ওভারে টানা দুটি ছক্কা মেরে দলের রান বাড়ান, তবে নাসিম শাহের ফুলটসে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। দক্ষিণ আফ্রিকা শেষ ১০ ওভারে ১১০ রান যোগ করে ৩৫২ রানের বিশাল স্কোর দাঁড় করায়।

পাকিস্তানের জয়ের পথচলা

পাকিস্তানের ইনিংসের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। ফখর জামান ও বাবর আজম ৬ ওভারে ৫৬ রান তুলে লুঙ্গি এনগিডি ও করবিন বোশকে চাপে ফেলে দেন। তবে সপ্তম ওভারে উইয়ান মুল্ডার প্রথম বলেই বাবর আজমকে এলবিডব্লিউ করলে পাকিস্তান কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায়।

এরপর সৌদ শাকিল ১৬ বলে ১৫ রান করে বোশের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। ১০ ওভারে পাকিস্তান ৯১/২ স্কোর তোলে, যা ২০০২ সালের পর পাওয়ারপ্লেতে তাদের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান।

ফখর জামান ৪১ রান করে মুল্ডারের বলে আউট হলে পাকিস্তান কিছুটা বিপদে পড়ে। তখন রিজওয়ান ও সালমান জুটি গড়ে ইনিংস মেরামত করেন। শুরুতে ধীরগতিতে খেললেও পরে তারা আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেন। ২৫ ওভারে পাকিস্তানের স্কোর ছিল ১৬৩/৩, তখনো ১৯০ রান প্রয়োজন ছিল।

দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনারদের বিরুদ্ধে রিজওয়ান ও সালমান দারুণ শট খেলেন এবং নিয়মিত বাউন্ডারি আদায় করেন। শেষ ১০ ওভারে পাকিস্তানের দরকার ছিল ৮২ রান, যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকা শেষ ১০ ওভারে তুলেছিল ১১০ রান।

রেকর্ড গড়া জুটি ও জয়

রিজওয়ান ১০৬ বলে ছক্কা মেরে ৯০ ছাড়ান এবং পরের ওভারেই সালমান ৮৭ বলে তার শতক পূর্ণ করেন। ৪৪তম ওভারে পাকিস্তানের স্কোর ৩০০ পেরিয়ে যায়, তখনো ৫ ওভারে ৩২ রান দরকার ছিল। সালমান আউট হলেও পাকিস্তান ৬ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে।

দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য দুঃসংবাদ

দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য আরও দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ক্লাসেনের ইনজুরি। ৩২তম ওভারে করবিন বোশের একটি বল তার ডান হাতের বুড়ো আঙুলে আঘাত করলে তিনি মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন এবং উইকেটকিপিং দায়িত্ব কাইল ভেরেইনের হাতে যায়। ক্লাসেনের ইনজুরি নিয়ে তাৎক্ষণিক কোনো আপডেট পাওয়া যায়নি।

শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের দুই সেঞ্চুরির দাপটেই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হয়, যেখানে রিজওয়ান ও সালমান আঘার অসাধারণ পারফরম্যান্স জয়-পরাজয়ের ব্যবধান গড়ে দেয়।

আরও পড়ুন:শ্রীলঙ্কায় ১৪ বছর পর টেস্ট সিরিজ জিতল অস্ট্রেলিয়া

এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
© ২০২৪ সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত || তীর্থের কাক
Theme Customized By Durjoy Bangla