1. tirtherkak24@gmail.com : tirtherkak :
মধ্যরাত থেকে সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ
মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫, ০৩:৫৫ পূর্বাহ্ন

মধ্যরাত থেকে সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ

  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২৫
মধ্যরাত থেকে সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ
মধ্যরাত থেকে সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ

মধ্যরাত থেকে সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ। রানিং অ্যালাউন্স নিয়ে জটিলতায় ট্রেন চালানো বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা।

মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন ও আনুতোষিক সুবিধা দেওয়ার দাবিতে কর্মবিরতিতে গেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। এতে সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যাত্রীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাত ১২টা থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন রানিং স্টাফরা। এর ফলে নির্ধারিত শিডিউল অনুযায়ী প্রারম্ভিক স্টেশনগুলো থেকে কোনো ট্রেন ছেড়ে যায়নি। রানিং স্টাফদের মধ্যে ট্রেন চালক, গার্ড ও টিকিট চেকাররা রয়েছেন।

কেন এই কর্মবিরতি?

রানিং স্টাফরা দীর্ঘদিন ধরে মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন এবং আনুতোষিক সুবিধা দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। রানিং স্টাফদের দাবি, ১৬০ বছর ধরে প্রচলিত নিয়মে বেতনের অংশ হিসেবে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করা হতো। কিন্তু ২০২০ সালে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সিদ্ধান্তে এটি টিএ (ভ্রমণ ভাতা) খাতে স্থানান্তর করা হয়। ফলে রানিং স্টাফদের পেনশন সুবিধা কমে যায়।

২০২১ সালে অর্থ মন্ত্রণালয় পেনশনের ক্ষেত্রে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করার বিষয়ে আপত্তি জানায়। এর ফলে ২০২২ সালে সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে কর্মবিরতিতে যান স্টাফরা। পরে অর্থ মন্ত্রণালয় আপত্তি প্রত্যাহার করলেও সমস্যার স্থায়ী সমাধান হয়নি।

সর্বশেষ, ২০২৩ সালের ২৩ জানুয়ারির এক নির্দেশনায় অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, রানিং অ্যালাউন্সের পরিমাণ মূল বেতনের চেয়ে বেশি হবে না এবং এটি পেনশনের ক্ষেত্রে যোগ হবে না। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রানিং স্টাফরা আবারও কর্মবিরতিতে যান।

প্রভাব ও যাত্রী দুর্ভোগ

কর্মবিরতির কারণে রাত ১২টার পর কোনো ট্রেন স্টেশন ছেড়ে যায়নি। এতে যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। অনেক যাত্রী স্টেশনে এসে ট্রেন না পেয়ে ফিরে যান।

ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের এক কর্মকর্তা জানান, রাত ১২টার আগে যেসব ট্রেন ছাড়তে পারেনি, সেগুলোও কর্মবিরতির কারণে স্টেশনে আটকে রয়েছে।

কর্মবিরতির দাবি ও প্রতিক্রিয়া

রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাঈদুর রহমান বলেন, “অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে স্পষ্টীকরণ চিঠি না পাওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের অবস্থানে অটল থাকব। ১৬০ বছর ধরে প্রচলিত নিয়ম হুট করে বন্ধ করা যাবে না।”

অন্যদিকে, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানান, “রানিং স্টাফদের দাবি বিবেচনার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তবে এটি সম্পূর্ণ মন্ত্রণালয়ের হাতে। এর সমাধান হতে সময় লাগতে পারে।”

আন্দোলনের পেছনের কারণ

রানিং স্টাফদের অভিযোগ, ৮ ঘণ্টার বেশি কাজ করলেও তাদের যথাযথ ভাতা প্রদান করা হয় না। তারা বলেন, “আমরা অতিরিক্ত কাজের জন্য টাকার বিনিময়ে কাজ করি। কিন্তু আমাদের দাবি মেনে না নিলে আমরা কাজ চালিয়ে যেতে পারব না।”

রানিং স্টাফরা মনে করেন, ১৬০ বছরের পুরনো নিয়ম পরিবর্তন না করে পূর্বের মতোই রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন এবং আনুতোষিক সুবিধা দিতে হবে।

কর্মবিরতির কারণে দেশের রেল যোগাযোগ অচল হয়ে পড়ায় যাত্রীসাধারণসহ পুরো রেল ব্যবস্থাপনা ক্ষতির মুখে পড়েছে। দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে ভোগান্তি আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আরও পড়ুন:ঢাবির অধীনে আর থাকছে না ৭ কলেজ

এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
© ২০২৪ সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত || তীর্থের কাক
Theme Customized By Durjoy Bangla