ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২৯তম আসরের উদ্বোধন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (১ জানুয়ারি) সকালে পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিসিএফসি) এ মেলার উদ্বোধন করেন তিনি।
আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ ও স্টল সংখ্যা
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে জানা গেছে, এবারের মেলায় বিশ্বের ৭টি দেশের ১১টি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে। মেলায় মোট ৩৬২টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন থাকছে। এই আয়োজনের বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে যুক্ত হয়েছে “জুলাই চত্বর,” “ছত্রিশ চত্বর,” এবং “তারুণ্যের প্যাভিলিয়ন,” যা ঐতিহাসিক ও সমসাময়িক বিষয়বস্তুতে সাজানো হয়েছে।
ই-টিকিট ও প্রযুক্তিগত সুবিধা
এবার প্রথমবারের মতো ই-টিকিট ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে, যা মেলায় প্রবেশকে আরও সহজতর করেছে। অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাটাগরির স্টল বা প্যাভিলিয়ন স্পেসও বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যা ডিজিটাল ব্যবস্থাপনার দিকে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
যাতায়াতের বিশেষ ব্যবস্থা
মেলায় ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বিআরটিসি ডেডিকেটেড বাস সার্ভিস চালু করেছে। পাশাপাশি বিশেষ ছাড়ে উবার সেবাও যুক্ত হয়েছে, যা নগরবাসীর জন্য আরও সহজ এবং সুবিধাজনক যাতায়াত নিশ্চিত করবে।
বিশেষ আয়োজন ও সুবিধা
এবারের মেলায় সম্ভাবনাময় সেক্টর বা পণ্যভিত্তিক সেমিনার আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিদেশি উদ্যোক্তাদের জন্য রয়েছে বিশেষ সোর্সিং কর্নার এবং ইলেকট্রনিক্স ও ফার্নিচার জোন। দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে শিশুদের জন্য তৈরি করা হয়েছে শিশু পার্ক, প্রযুক্তি কর্নার, এবং সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য সিটিং কর্নার।
ঐতিহাসিক স্মৃতিচারণা ও তরুণদের অনুপ্রেরণা
মেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ছাত্র-জনতার স্মরণে “মুগ্ধ ও আবু সাইদ কর্নার” স্থাপন করা হয়েছে। তরুণ সমাজকে রফতানি বাণিজ্যে উৎসাহিত করতে তৈরি হয়েছে “ইয়ুথ প্যাভিলিয়ন,” যা দেশের তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য একটি অনন্য সুযোগ প্রদান করবে।
সময়সীমা ও দর্শনার্থীর সুবিধা
মেলা মাসব্যাপী সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে এটি রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
এবারের মেলা শুধু ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার নয়, বরং প্রযুক্তি, ঐতিহ্য এবং তরুণদের উদ্ভাবনী উদ্যোগকেও কেন্দ্র করে সাজানো হয়েছে। মেলা ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের জন্য এক বিশেষ অভিজ্ঞতা নিয়ে এসেছে।