ডেস্ক রিপোর্ট: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, তার ছেলে তারেক রহমানসহ মামলার সকল আসামি খালাস পেয়েছেন। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ এ রায় দেয়।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ অরফানেজ ট্রাস্টের নামে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। একই মামলায় তার ছেলে তারেক রহমানসহ বাকি পাঁচ আসামিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২ কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।

এই রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে আপিল করেন। কিন্তু হাইকোর্ট সেই সাজা পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করেন। পরে খালেদা জিয়া আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি) চেয়ে আবেদন করেন।

২০২৪ সালের ১১ নভেম্বর আপিল বিভাগ খালেদা জিয়ার ১০ বছরের সাজা স্থগিত করেন এবং তার লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেন। চার কার্যদিবস শুনানি শেষে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) আপিল বিভাগ এই মামলায় রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে আদালত বলেন, এই মামলা প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে করা হয়েছিল। আদালত আরও উল্লেখ করেন, মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজলসহ আরও অনেকে।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এবং অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলরা। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী মো. আসিফ হাসান শুনানি করেন।

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, এবং জিয়াউর রহমানের ভাগনে মমিনুর রহমান।

আদালতের রায়ের পর আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, এটি ন্যায়বিচারের উদাহরণ। প্রতিহিংসার মামলা থেকে খালেদা জিয়াসহ সবাই বেকসুর খালাস পেয়েছেন।

আরও পড়ুন:সমালোচনার মুখে ব্রিটিশ মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করলো টিউলিপ সিদ্দিক