চোরাচালান ও অনুপ্রবেশ বন্ধে বিজিবির ভূমিকা:-

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ভারতীয়দের অনুপ্রবেশ এবং চোরাচালান বন্ধে বর্তমানে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বিজিবি অতিরিক্ত সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং প্রতিদিনই তারা কোটি কোটি টাকার চোরাচালানী পণ্য আটক করছে। সীমান্ত এলাকায় টহল ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে, যাতে দেশের অভ্যন্তরে অবৈধ পণ্য প্রবেশ করতে না পারে। ভারতীয় সীমান্তে চোরাচালান এবং অবৈধ অনুপ্রবেশের ঘটনা দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় বিজিবি তাদের কার্যক্রম আরও শক্তিশালী করেছে।

বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, সীমান্তে নজরদারি আরো বাড়ানো হয়েছে এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে চোরাচালানী পণ্য শনাক্ত ও আটক করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় চোরাচালানের শিকড় উপড়ে ফেলার চেষ্টা চলছে। বিশেষত, মাদক, স্বর্ণ, টাকাপয়সা এবং অন্যান্য নিষিদ্ধ পণ্য বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেখা যাচ্ছে, যা দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে।

এছাড়াও, ভারতীয় নাগরিকদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সীমান্ত এলাকায় অতিরিক্ত সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে এবং বিজিবি সদস্যরা সশস্ত্র অবস্থায় টহল দিচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে সীমান্ত নিরাপত্তা আরও কঠোর করা হয়েছে, যাতে কোনোভাবেই দেশের সার্বভৌমত্বে আঘাত না আসে। বিজিবির এই পদক্ষেপের ফলে চোরাচালানী পণ্য আটক করার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং ভারতীয় অনুপ্রবেশের ঘটনা কমানো সম্ভব হচ্ছে।

বর্তমান পরিস্থিতি:-

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নিয়ে বর্তমানে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। সীমান্তের বিভিন্ন অংশে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ এবং এর সম্প্রসারণ নিয়ে উভয় দেশই একে অপরকে দায়ী করছে। ভারত সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করতে শুরু করেছে, যা বাংলাদেশে উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে, কারণ এতে স্থানীয় জনগণের জন্য কিছু অসুবিধা তৈরি হতে পারে।

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, ভারতীয় বাহিনী বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য এমন কাঁটাতারের বেড়া তৈরি করছে, যা বাংলাদেশের ভেতরে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বসবাসরত মানুষের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করবে। স্থানীয় জনগণ সীমান্ত পার হয়ে যাতায়াত করতে সমস্যা অনুভব করছেন। অন্যদিকে, ভারত বলছে যে, সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এবং চোরাচালান ও অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

এ পরিস্থিতিতে উভয় দেশের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে মতবিরোধ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষত, কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের কারণে দুই দেশের মধ্যে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মাঝে উত্তেজনা এবং সংঘর্ষের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করতে এবং শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজতে উভয় দেশের শীর্ষ কর্মকর্তারা আলোচনা অব্যাহত রেখেছেন। তবে, স্থানীয় জনগণের ক্ষোভ ও অসন্তোষ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং তারা নিরাপত্তা ব্যবস্থার সমন্বয় এবং সীমান্ত পারাপারের সহজ ব্যবস্থা চান।

আরও পড়ুন:চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে উত্তেজনা: ‘জয় শ্রী রাম’ বনাম ‘আল্লাহু আকবার’