1. tirtherkak24@gmail.com : tirtherkak :
ইমরান খান ও বুশরা বিবির কারাদণ্ড: আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়
সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ০৬:৪৬ অপরাহ্ন

ইমরান খান ও বুশরা বিবির কারাদণ্ড: আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়

  • প্রকাশিত: শনিবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০২৫
ইমরান খান ও বুশরা বিবির কারাদণ্ড: আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়
ইমরান খান ও বুশরা বিবির কারাদণ্ড: আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়

ডেস্ক রিপোর্ট: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানকে আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই মামলায় ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবিকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) ইসলামাবাদের একটি দায়রা আদালত এই রায় ঘোষণা করেছে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

কী ছিল মামলার অভিযোগ? আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা, যা ১৯০ মিলিয়ন পাউন্ড দুর্নীতির মামলা নামে পরিচিত, ২০১৯ সালে দায়ের করা হয়। অভিযোগ ওঠে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান একটি গোপন চুক্তির মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) থেকে প্রাপ্ত ৫০ বিলিয়ন রুপি (১৯ কোটি পাউন্ড) আল-কাদির ট্রাস্টের নামে হস্তান্তর করেন। এই অর্থ মূলত একটি প্রভাবশালী আবাসন ব্যবসায়ীর বাজেয়াপ্ত সম্পদের অংশ ছিল।

এনএবি (ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো) অভিযোগ করে, ইমরান খান ও তার সহযোগীরা একটি চুক্তির মাধ্যমে এই অর্থ বৈধতা দেন এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সুবিধা পাইয়ে দেন। অভিযোগ অনুযায়ী, চুক্তি অনুমোদনের কয়েক সপ্তাহ পর আল-কাদির ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করা হয়।

আদালতের রায়:- ইমরান খানকে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে ১৪ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ পাকিস্তানি রুপি জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে তাকে আরও ছয় মাস কারাগারে থাকতে হবে। একই মামলায় বুশরা বিবিকে দুর্নীতিতে সহায়তার অভিযোগে ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫ লাখ রুপি জরিমানা দেওয়া হয়েছে। জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে তার শাস্তির মেয়াদ তিন মাস বাড়বে।

রায় অনুযায়ী, আল-কাদির ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটিকে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মামলার সাক্ষ্য ও প্রমাণ:-মামলার বিচার চলাকালীন সময় ১৬ জন সাক্ষীর তালিকা আদালতে জমা দেওয়া হয়। সাবেক মন্ত্রী পারভেজ খট্টক ও জুবাইদা জলালসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা সাক্ষ্য দেন। তারা জানান, এনসিএর সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে মন্ত্রিসভাকে বিস্তারিত জানানো হয়নি। এ ছাড়া মন্ত্রিসভায় সিল করা নথি উপস্থাপন করে অপরাধমূলক অর্থ ফেরত চুক্তির অনুমোদন নেওয়া হয়েছিল।

প্রসিকিউশন প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে যে ইমরান খান ও বুশরা বিবি এই দুর্নীতিতে সরাসরি জড়িত ছিলেন।

বুশরা বিবির কারাবাস:- রায় ঘোষণার পরই বুশরা বিবিকে আটক করে আদিয়ালা জেলে নেওয়া হয়, যেখানে তার থাকার জন্য একটি বিশেষ কক্ষ আগেই প্রস্তুত ছিল। ইমরান খান ইতোমধ্যেই একই কারাগারে বন্দি রয়েছেন।

আপিলের সুযোগ:- আদালত রায়ের কপি দুই আসামির কাছে সরবরাহ করেছে। তারা চাইলে উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন।

পলাতক আসামিরা:-মামলায় ইমরান খান ও বুশরা বিবি ছাড়াও আরও ছয়জন অভিযুক্ত আছেন, যাদের মধ্যে জুলফি বুখারি, ফারাহ গোগি ও মির্জা শাহজাদ আকবর পলাতক। আদালত তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করার নির্দেশ দিয়েছে।

আল-কাদির ট্রাস্ট মামলা:- একটি নজির আল-কাদির ট্রাস্ট মামলা পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক দুর্নীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হিসেবে সামনে এসেছে। মামলার রায় পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

আরও পড়ুন:পবিত্র সাহাবী গাছের গল্প: ইতিহাস, তর্ক ও বাস্তবতা

এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
© ২০২৪ সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত || তীর্থের কাক
Theme Customized By Durjoy Bangla