স্পোর্টস রিপোর্ট: বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে আবারও অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাতে নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
এর আগে, ২০২৩ সালের ৬ জুলাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেছিলেন তামিম। তবে পরদিন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছিলেন। এবার চূড়ান্তভাবে বিদায় নিলেন তিনি।
তামিমের ফেসবুক পোস্ট:
“আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে আছি অনেক দিন ধরেই। সেই দূরত্ব আর ঘুচবে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার অধ্যায় শেষ।
অনেক দিন ধরেই এটা নিয়ে ভাবছিলাম। এখন যেহেতু সামনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো বড় একটি আসর রয়েছে, আমি চাই না আমাকে ঘিরে কোনো আলোচনা হোক বা দলের মনোযোগ ব্যাহত হোক।
এটা আমি আগে কখনো চাইনি। চাইনি বলেই অনেক আগেই নিজেকে বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে সরিয়ে নিয়েছি। যদিও অনেকেই বলেছেন বা মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে, আমি নাকি বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখেছি। কিন্তু বাস্তবতা হলো, বিসিবির কোনো চুক্তিতে নেই আমি—এক বছরেরও বেশি সময় আগে নিজ থেকেই সরে দাঁড়িয়েছি। এ অবস্থায় আমাকে পরিকল্পনায় রাখা বা নিয়ে আলোচনা করা অনর্থক। তারপরও অযথা আলোচনা হয়েছে।
অবসর নেওয়া বা খেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত একজন ক্রিকেটার বা যেকোনো পেশাদার ক্রীড়াবিদের ব্যক্তিগত অধিকার। আমি নিজের জন্য সময় নিয়েছিলাম এবং এখন মনে হয়েছে, সময়টা এসে গেছে।
অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আন্তরিকভাবে আমাকে ফেরার অনুরোধ করেছে। নির্বাচক কমিটির সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। আমাকে এখনো উপযুক্ত মনে করায় তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। তবে আমি নিজের মনের কথা শুনেছি।
২০২৩ বিশ্বকাপের আগে যা হয়েছে, তা আমার জন্য বড় ধাক্কা ছিল। কারণ, ক্রিকেটীয় কারণে আমি দলের বাইরে যাইনি। তবুও, যেখানেই গিয়েছি, ক্রিকেটপ্রেমীরা আমাকে জাতীয় দলে দেখতে চেয়েছেন। তাদের ভালোবাসা আমার জন্য বিশেষ কিছু।
আমার ঘরেও একজন বড় অনুরাগী রয়েছে—আমার ছেলে। সে কখনো সরাসরি কিছু বলেনি, তবে তার মা’কে বারবার বলেছে যে সে বাবাকে দেশের জার্সিতে খেলতে দেখতে চায়।
তাদের এই ভালোবাসা আমাকে ভাবিয়েছে। কিন্তু ভক্তদের হতাশ করার জন্য আমি দুঃখিত। আর আমার ছেলেকে বলছি, ‘তুমি যখন বড় হবে, তখন বাবাকে বুঝতে পারবে।’’
তামিমের এই ঘোষণার মাধ্যমে বাংলাদেশের ক্রিকেটে আরেকটি অধ্যায় শেষ হলো। তবে তার অবদান ও স্মৃতি চিরকাল থেকে যাবে ভক্তদের হৃদয়ে।
আরও পড়ুন:সুপারকোপার ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ: ফাইনালে প্রতিপক্ষ বার্সেলোনা