শুক্রবার ইসলামি শরিয়তে সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনের মর্যাদা এতটাই বেশি যে এটি ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার মতোই বিশেষভাবে গণ্য। পবিত্র কোরআনে ‘সূরা জুমা’ নাজিল হওয়া এবং বিভিন্ন হাদিসে এ দিনের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
যে দিনগুলোতে সূর্য উদিত হয়, তার মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম। ওই দিন আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে, জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে এবং জান্নাত থেকে বের করা হয়েছে। কিয়ামতও এ দিনেই সংঘটিত হবে। (মুসলিম শরিফ, হাদিস: ৮৫৪)।

জুমার দিনে একজন মুমিনের জন্য বিশেষ কিছু আমল করার সুযোগ রয়েছে। এ আমলগুলো যেমন সওয়াবের সুযোগ সৃষ্টি করে, তেমনি ব্যক্তি জীবনে আধ্যাত্মিক উন্নতি আনে। জুমার দিনের বিশেষ তিনটি আমল হলো:

১.সূরা কাহাফ তিলাওয়াত: জুমার দিনে সূরা কাহাফ তিলাওয়াতের বিশেষ ফজিলত রয়েছে।
হাদিসে বলা হয়েছে:যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, তার জন্য এক জুমা থেকে আরেক জুমা পর্যন্ত ঈমানের নূর চমকাবে।(মিশকাত, হাদিস: ২১৭৫)।

হজরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বলেছেন:
যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, সে আট দিন যাবৎ সব ধরনের ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। এমনকি দাজ্জালের ফিতনা থেকেও সে রক্ষা পাবে।

২.তাড়াতাড়ি মসজিদে গমন: জুমার নামাজের জন্য তাড়াতাড়ি মসজিদে যাওয়া একটি বিশেষ আমল।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করে, সময় মতো মসজিদে গিয়ে ইমামের কাছে বসে খুতবা মনোযোগ দিয়ে শুনে এবং কোনো অনর্থক কাজ করে না, তার প্রতিটি পদক্ষেপে এক বছরের নফল রোজা ও নামাজের সওয়াব লেখা হয়। (আবু দাউদ, হাদিস: ৩৪৫)।

৩.দোয়া করা: জুমার দিন বিশেষ দোয়া কবুলের সময় রয়েছে।
হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:জুমার দিনে এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে, যখন আল্লাহর বান্দা যা চায়, আল্লাহ তা কবুল করেন। তোমরা এই সময়টি আসরের শেষ সময়ে তালাশ করো।(আবু দাউদ, হাদিস: ১০৪৮)।

শুক্রবার এ তিনটি আমল পালনের মাধ্যমে একজন মুমিন আল্লাহর রহমত ও বরকত লাভ করতে পারে। তাই প্রতিটি জুমা দিনকে নিজের আখিরাতের পুঁজি হিসেবে কাজে লাগানো উচিত।

আরও পড়ুন:শুক্রবারের ফজিলতপূর্ণ আমল সমূহ