1. tirtherkak24@gmail.com : tirtherkak :
শীতকালীন ডায়রিয়া বাড়ছে শিশুদের ঝুঁকি: প্রতিদিন গড়ে ৬৭৫ শিশু ভর্তি
সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন

শীতকালীন ডায়রিয়া বাড়ছে শিশুদের ঝুঁকি: প্রতিদিন গড়ে ৬৭৫ শিশু ভর্তি

  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী, ২০২৫
শীতকালীন ডায়রিয়া বাড়ছে শিশুদের ঝুঁকি: প্রতিদিন গড়ে ৬৭৫ শিশু ভর্তি
শীতকালীন ডায়রিয়া বাড়ছে শিশুদের ঝুঁকি: প্রতিদিন গড়ে ৬৭৫ শিশু ভর্তি

রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের জেলাগুলোতে শীতকালীন ডায়রিয়া প্রকোপ বেড়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৬৭৫ শিশু এই রোগে আক্রান্ত হয়ে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি)-এর মহাখালীর হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। এসব শিশুদের মধ্যে বেশিরভাগই রোটাভাইরাসজনিত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত।

শিশুদের মৃত্যুও হচ্ছে

আইসিডিডিআরবির চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অনেক শিশুর অবস্থা সংকটাপন্ন। বাড়িতে ভুলভাবে স্যালাইন খাওয়ানোর কারণে রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে যাওয়া বা ‘হাইপারনেট্রিমিয়া’র মতো জটিলতা দেখা দিচ্ছে। নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ১৫টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

শীতকালীন ডায়রিয়ার কারণ

গবেষণা বলছে, শীতকালে শিশুদের ডায়রিয়ার প্রধান জীবাণু হলো রোটাভাইরাস। বছরের অন্যান্য সময়ের ডায়রিয়া বা কলেরার সঙ্গে এর পার্থক্য রয়েছে। রোটাভাইরাসজনিত ডায়রিয়ায় শিশুরা ঘন ঘন দুধের মতো সাদা রঙের পায়খানা করে।

আইসিডিডিআরবির সহকারী বিজ্ঞানী শোহেব বিন ইসলাম বলেন, “এবার গত বছরের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি রোগী আসছে। কিছু শিশু খুবই গুরুতর অবস্থায় ভর্তি হচ্ছে।”

কোথা থেকে আসছে রোগী?

ঢাকার মোহাম্মদপুর, গুলশান, কামরাঙ্গীরচর, আশুলিয়া ও মিরপুর এলাকা থেকে রোগীর সংখ্যা বেশি। ঢাকার বাইরের গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী ও কেরানীগঞ্জ থেকেও শিশুরা আসছে। পরিসংখ্যান বলছে, ভর্তি হওয়া শিশুদের ৭৯ দশমিক ৪ শতাংশের বয়স পাঁচ বছরের নিচে, আর ৭৬ শতাংশের বয়স দুই বছরের কম।

চিকিৎসায় জটিলতা

অনেক মা সঠিক নিয়মে স্যালাইন তৈরি ও খাওয়াতে পারেন না। গবেষণায় দেখা গেছে, ৮৮ শতাংশ মায়ের ওআরএস সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেই। এ ছাড়া ২৪ শতাংশ মা মনে করেন, অ্যান্টিবায়োটিক স্যালাইনের চেয়ে কার্যকর। এর ফলে শিশুদের সঠিকভাবে স্যালাইন না খাওয়ানোয় ‘হাইপারনেট্রিমিয়া’র ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।

নরসিংদীর মাধবদী থেকে আসা এক বছর বয়সী ইভার মা জানান, ভুলভাবে স্যালাইন খাওয়ানোর পর তার মেয়ের খিচুনি শুরু হয়। পরে তাকে আইসিডিডিআরবির আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।

রোটাভাইরাসের টিকা প্রয়োজন

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোটাভাইরাস প্রতিরোধে টিকা কার্যকর হতে পারে। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচিতে এই টিকা অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দিচ্ছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিশু বিভাগের সাবেক প্রধান অধ্যাপক আবিদ হোসেন মোল্লা। ভারত ও আফগানিস্তানে এই টিকা ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

করণীয়

শিশুদের ডায়রিয়া প্রতিরোধে ঘরের খাবার ও বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত করা জরুরি। খাওয়ার আগে এবং শিশুর মল পরিষ্কারের পর হাত ভালোভাবে ধুতে হবে। এছাড়া ওআরএস সম্পর্কে মায়েদের সঠিক ধারণা দেওয়া এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন।

আইসিডিডিআরবির বিজ্ঞানী লুবাবা শাহরিন বলেন, “রোটাভাইরাসজনিত ডায়রিয়ার প্রকোপ আরও মাসখানেক থাকতে পারে। তাই সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।

আরও পড়ুন:শীতকালে ঠোঁট ফাটা: কারণ ও সমাধান

এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
© ২০২৪ সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত || তীর্থের কাক
Theme Customized By Durjoy Bangla