রাজশাহীর সারদায় অবস্থিত বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণরত আটজন ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবলকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পুলিশ একাডেমির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে অব্যাহতি পাওয়া কনস্টেবলরা একাডেমি ত্যাগ করে নিজ নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
অব্যাহতি পাওয়া কনস্টেবলরা হলেন মো. শাকিব, মো. অন্তর, ফজলে রাব্বি, বিক্রম কুমার, নূর আজম, রিয়াজ আলী, আল মামুন ও কিংকর। তবে তাঁদের কেউ এখনো লিখিত অব্যাহতির কাগজ হাতে পাননি।
সারদা পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান ভূঞার কাছে এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। পুলিশের এআইজি (মিডিয়া) ইনামুল হক সাগরের সঙ্গেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ফলে কর্তৃপক্ষের কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
গত ২৪ জুন থেকে সারদা পুলিশ একাডেমিতে ৩৪৭ জন ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবলের ছয় মাসব্যাপী মৌলিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়। এই প্রশিক্ষণ গত বছরের ২০ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে তা শেষ হয়নি, এবং প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজও এখনো আয়োজন করা হয়নি। প্রথমে ১৯ ডিসেম্বর সমাপনী কুচকাওয়াজের দিন নির্ধারণ করা হয়েছিল, কিন্তু তা অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হয়। নতুন তারিখ হিসেবে ১২ জানুয়ারি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে শুক্রবার জুমার নামাজের পর আটজন কনস্টেবলকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
এর আগে সারদা পুলিশ একাডেমিতে শৃঙ্খলাজনিত বিভিন্ন ঘটনায় তিন ধাপে ৩২১ জন প্রশিক্ষণরত উপপরিদর্শককে (এসআই) অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ১৬ ডিসেম্বর প্রশিক্ষণরত ২৫ জন সহকারী পুলিশ সুপারকে (এএসপি) শোকজ করা হয়। তবে কনস্টেবল পর্যায়ে সরাসরি অব্যাহতির ঘটনা এই প্রথম।
এদিকে, বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারেও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ১৪ জন কনস্টেবলকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
পুলিশের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ নিয়ে সাম্প্রতিক এই পদক্ষেপগুলো বেশ নজর কেড়েছে। তবে সারদা পুলিশ একাডেমির ঘটনা এ বিষয়ে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করল।
আরও পড়ুন:সিলেটে র্যাবের খাঁচায় সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আ.লীগ নেতা আনা মিয়া