হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট থানাধীন এলাকায় জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের শত্রুতার জের ধরে চাঞ্চল্যকর একটি হত্যাকাণ্ড ঘটে। এই ঘটনায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৯ এর একটি আভিযানিক দল ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলার অন্যতম দুই পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করেছে।
র্যাব-৯ বরাবরই বিভিন্ন নৃশংস ও ঘৃণ্য অপরাধ দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। মাদক উদ্ধার, মানবপাচার, জঙ্গি দমন, হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণসহ নানা অপরাধ দমনে র্যাবের বিশেষ কার্যক্রম জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছে।
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানার মুছিকান্দি গ্রামের মফিল মিয়া ও একই গ্রামের শান্ত মিয়ার লোকজনের মধ্যে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে আদালতে মামলাও চলছে। গত ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মফিল মিয়া বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা তাঁকে একা পেয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। তাঁর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
গুরুতর অবস্থায় মফিল মিয়াকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় মফিল মিয়ার ছেলে বাদী হয়ে চুনারুঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে র্যাব-৯, সিপিসি-৩, শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, দুপুর ২:৩০ মিনিটে চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে মামলার অন্যতম দুই পলাতক আসামি-১. জহুর আলী (৫০), পিতা: মৃত সুন্দর আলী, সাং: মুছিকান্দি এবং ২. শাহিন মিয়া (৩২), পিতা: মৃত রবি মিয়া, সাং: আমতলাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের আইনি প্রক্রিয়ার জন্য চুনারুঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। একইসঙ্গে মামলার অন্যান্য পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে র্যাব-৯ এর গোয়েন্দা কার্যক্রম ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
র্যাব-৯ এর এমন তৎপরতা জনমনে নিরাপত্তার আস্থা আরও সুদৃঢ় করেছে এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা প্রেরণ করেছে।
আরও পড়ুন:র্যাব-৯ এর অভিযানে হবিগঞ্জে ৫০ কেজি গাঁজাসহ ১ জন গ্রেফতার