র‌্যাব-৯ ও র‌্যাব-১ এর যৌথ অভিযানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানাধীন লালপুর নামক এলাকায় ক্লুলেস অটোরিক্সা চালক হত্যা মামলার তিন আসামি গ্রেফতার।

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠার পর থেকেই নৃশংস ও ঘৃণ্য অপরাধ দমন, মাদক উদ্ধার, ধর্ষণ, মানব পাচার, হত্যা মামলা, সন্ত্রাসী কার্যক্রম এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ নানা অপরাধ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র‌্যাব সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করছে।

ঘটনার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানাধীন লালপুর ইউনিয়নের লামাবায়েক আখড়ার দক্ষিণ পাশে রাস্তার উপর অটোরিকশা চালক মো. বিল্লাল মিয়ার (৬০) রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া যায়। ভিকটিমের পিঠে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন এবং গলায় কাটার দাগ দেখা যায়। পরে তার স্ত্রী স্থানীয় লোকজন ও পুলিশের সহায়তায় মরদেহ শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় আশুগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

প্রথম অভিযান:

২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে র‌্যাব-৯, সিপিসি-১ এর একটি দল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর থানার পরীবাড়ি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যার সঙ্গে জড়িত দুই আসামিকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন:-১। মোঃ আল আমিন (৪০), পিতা-মৃত আব্দুল আজিজ, সাং-শরীয়ত নগর, থানা-আশুগঞ্জ, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং ২। মোঃ শেখ রুবেল আহমেদ (৩৫), পিতা-মৃত শেখ জহিরুল ইসলাম, সাং-তালশহর, পূর্বপাড়া, থানা-আশুগঞ্জ, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

দ্বিতীয় অভিযান:

২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে র‌্যাব-৯ এবং র‌্যাব-১ এর যৌথ অভিযান পরিচালিত হয় গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানার এমসি বাজার এলাকায়। সেখানে হত্যার ঘটনায় জড়িত আরেক পলাতক আসামি দ্বীন ইসলাম (৩৪), পিতা-মৃত মাজু মিয়া, সাং-লালপুর নিয়াগাঁও, থানা-আশুগঞ্জ, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

গ্রেফতারকৃত তিন আসামিকে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আশুগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে র‌্যাব-৯ এর গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এই সফল অভিযানের মাধ্যমে র‌্যাব আবারও প্রমাণ করেছে যে, অপরাধ দমনে তারা প্রতিশ্রুতিশীল। জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র‌্যাবের অভিযান ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে।

আরও পড়ুন:হবিগঞ্জে একাধিক মামলার পলাতক আসামীসহ ডাকাত দলের ৪ জন আটক