দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১৮১ জন যাত্রীসহ একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে ১৭৯ জন নিহত হয়েছেন, এবং দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ জানিয়েছে।

বিমানটি থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পাশের দেয়ালের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে বিমানটিতে থাকা ১৭৫ জন যাত্রী এবং ছয়জন ক্রু সদস্যের মধ্যে মাত্র দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। যাত্রীদের মধ্যে ১৭৩ জন দক্ষিণ কোরিয়ার এবং দুজন থাইল্যান্ডের নাগরিক।

জেজু এয়ারের বিমানটি রানওয়ে থেকে ছিটকে যাওয়ার পর দেয়ালে আঘাত করার আগেই এক অংশে আগুন ধরে যায়। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, বিমানটি রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে দেয়ালে আঘাত করার সময় তীব্র ধোঁয়ার কুন্ডলী আকাশে উঠছে।

ইয়োনহাপের খবরে বলা হয়েছে, পাখির কারণে বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ার অকার্যকর হয়ে এই বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তবে দুর্ঘটনার সঠিক কারণ এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।

বিমানবন্দরের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, উদ্ধারকর্মীরা বিমানটির পেছনের অংশ থেকে যাত্রীদের উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার দমকল বিভাগ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে ৩২টি দমকল গাড়ি এবং ৮০ জনের বেশি কর্মী উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার বৃহত্তম এবং কম খরচের বিমান সংস্থা জেজু এয়ার এই দুর্ঘটনার জন্য গভীর শোক প্রকাশ করেছে। সংস্থাটির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে:
“মুয়ান এয়ারপোর্টের দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি। আমরা প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং এই দুঃখজনক ঘটনার জন্য আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।”

মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি ২০০৭ সালে চালু হয় এবং এটি এশিয়ার বিভিন্ন গন্তব্যে বিমান চলাচলের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই বিমানবন্দরে এর আগে বড় কোনো দুর্ঘটনার ইতিহাস নেই।

দক্ষিণ কোরিয়ার পরিবহন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনে তদন্ত শুরু হয়েছে। নিহতদের মরদেহ শনাক্ত ও পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

আরও পড়ুন:সিলেটে র‌্যাবের অভিযানে হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রী গ্রেফতার