শীতকালে ঠোঁট ফাটা খুবই সাধারণ সমস্যা। এ সময় সবার ঠোঁট শুষ্ক হয়ে ফেটে যায়, যার কারণ মূলত শীতের শুষ্ক আবহাওয়া। শীতে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমে যাওয়ায় ঘামও কম হয়। এর ফলে সিবেসিয়াস গ্রন্থি থেকে নির্গত প্রাকৃতিক তেল ত্বকে ছড়াতে পারে না, ফলে ত্বক ও ঠোঁট শুষ্ক হয়ে ফেটে যায়।
লাইফস্টাইল বিষয়ক ওয়েবসাইট সিক্রেট স্পার তথ্যমতে, মুখের ত্বক শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় পাতলা এবং শীতে এটি দ্রুত পানিশূন্য হয়ে পড়ে। ঠান্ডা বা শুষ্ক আবহাওয়া, ঘন ঘন জিহ্বার স্পর্শ বা ডিহাইড্রেশনও ঠোঁট ফাটার কারণ। ঠোঁটে নিজস্ব গ্রন্থি না থাকায় আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে না এবং অন্যান্য উপাদানের সংস্পর্শে শুষ্ক হয়ে যায়।
কখনো কখনো ওষুধ বা চিকিৎসার প্রভাবে ঠোঁট শুষ্ক হতে পারে। এছাড়া অ্যাসিডিক, লবণাক্ত বা মশলাদার খাবারও ঠোঁট ফাটার কারণ হতে পারে।
সমাধান:
★ ভ্যাসলিন বা লিপবাম ব্যবহার: ঠোঁটের আর্দ্রতা ধরে রাখতে নিয়মিত ভ্যাসলিন বা লিপবাম ব্যবহার করুন, যা ঠোঁটকে নরম ও কোমল রাখে।
★গ্লিসারিন ও মধু: ১ চা চামচ গ্লিসারিন ও ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে একটি বোতলে রেখে দিন। দিনে দুই-তিনবার ঠোঁটে এই মিশ্রণ লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন। এটি ঠোঁট আর্দ্র রাখতে সহায়তা করে। তবে লাগানোর চার-পাঁচ মিনিট পর টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলুন।
★অলিভ অয়েল প্যাক: ১ চা চামচ অলিভ অয়েল, ১ চা চামচ চিনি, এবং আধা চা চামচ বেসন মিশিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন। কয়েক মিনিট পর ভেজা হাতে ঠোঁট ম্যাসাজ করে তুলে ফেলুন। এতে মরা কোষ দূর হয়ে ঠোঁটের কোমলতা বজায় থাকবে।
সঠিক যত্ন ও নিয়মিত আর্দ্রতা বজায় রাখলে শীতে ঠোঁট ফাটার সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
আরও পড়ুন: শীতকালে কমলা খাওয়ার উপকারিতা